
রাজধানীর রামপুরার এলাকায় ঝিলের ওপর নির্মিত একটি দোতলা টিনশেড ঘর দেবে
গিয়ে একই পরিবারের ৩ জনসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ৫
জন নারী রয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন।
বুধবার বিকাল তিনটার দিকে পূর্বহাজীপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহতরা
হলেন, আখের রস বিক্রেতা বরগুনার নিজাম (৪৭), তার স্ত্রী কল্পনা বেগম (৪২),
ছেলে সবুজের বউ রোকসানা (২২), রিকশাচালক মিজানুর রহমান (৩০), স্থানীয় মুদি
দোকানদার বরিশালের হারুণ অর রশিদ (৫৬), খলিলুর রহমানের ছোট ছেলে সাইফুল
ইসলাম (১৪), ঝালকাঠীর মাসুদের স্ত্রী সাজিদা (১৯), ফারজানা (৯), রুনা (১৪),
জোস্না বেগম (৪০) বাড়িটির ম্যানেজারের ছেলে জাকির (৩০)।
এদের মধ্যে প্রথম দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে
কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যরা ঘটনাস্থলে আটকা পড়ে মারা
গেছেন।
এদিকে দেবে যাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে এখনো অন্তত ২০ জনের মতো আটকে রয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন।এদিকে মর্মান্তিক ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধার তত্পরতা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।মতিঝিল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিসি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল থেকে বলেন,
দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে র্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিরাপত্তা জোরদার
করেছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজেও সহায়তা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত
লাশ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, টিনশেডের ঘরগুলোর মালিক স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনির
চৌধুরীর। ঘটনার পর তিনি পলাতক রয়েছেন। ঘরগুলো বৈধ না অবৈধ বিষয়টি দেখার
দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। যেহেতু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সেহেতু আমরা আইন
অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।হতাহতের ব্যাপারে রামপুরা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, এ
ঘটনায় সব মিলিয়ে মোট ১১ টি লাশের বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। উদ্ধার
কার্যক্রমে ফায়ার সার্ভিসকে পুলিশ সহায়তা করছে।
No comments:
Post a Comment