[লাইফ স্টাইল] ভদ্র মেয়েদেরকিছু বৈশিষ্ট্য
পশ্চিমা দেশগুলোতে ধূমপানের ওপর কড়াকড়ি বাড়ার কারণে তামাকজাত পণ্য প্রস্তুত
কোম্পানিগুলো ভারত ও চীনের ভোক্তাদের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে বলে মনে করছেন
বিশেষজ্ঞরা। একদল গবেষক ১৯৮০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৭টি দেশে
ধূমপায়ীদের ওপর নজর রেখেছেন। তাদের পর্যবেক্ষণে প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে জার্নাল
অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (জেএএমএ) নামের একটি স্বাস্থ্য সাময়িকীর
খবরে বলা হয়, ভারতে গত ৩০ বছরে পুরুষ ধুমপায়ীর হার ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে
কমে ২৩ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে নারী ধূমপায়ীদের হার তিন শতাংশ থেকে বেড়ে তিন
দশমিক দুই শতাংশ হয়েছে। নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা ৫৩ লাখ থেকে বেড়ে এক কোটি ২২
লাখে দাঁড়িয়েছে। ধূমপানের প্রভাব নারী ও পুরুষের ওপর একই রকম হলেও এর ফলে
নারীদের মধ্যে বন্ধাত্ব ও ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ছে।নেভিন কিশোর নামে নয়া দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ বলেন,
জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে ভারতে নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
অ্যাপোলো হাসপাতালের স্বপ্না নানগিয়া মনে করেন, ভারত ও চীনের মতো দেশে
সিগারেট কোম্পানি গুলো দুর্ভিসন্ধিমূলকভাবে ধূমপানকে সামাজিকভাবে
গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছে। কারণ, এতে করে বিজ্ঞাপন বিষয়ক ঝামেলা
থেকে বেঁচে যাওয়া যায়। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোতে ধূমপানের প্রচারণা চালাতে
গেলে বড় রকমের জরিমানা গুনতে হয়। কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের কৈলাশনাথ
গুপ্তা মনে করেন, নারীদের মাঝে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।
তবে তামাকের ক্ষতি নারী ও পুরুষের ওপর একই রকম বলে মনে করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment